কলকাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে (Durgapur Incident) এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ওড়িশার মহিলা কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল ৷ মহিলা কমিশনের পাশাপাশি ওড়িশা থেকে চিকিৎসকদের একটি দলও এদিন দুর্গাপুর এসেছে। এদিকে রাজ্য সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও (National Commission of Women)। ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১১ দফা সুপারিশ (Recommendations) করেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
গণধর্ষণের খবর পাওয়ার পরই দুর্গাপুরে পৌঁছেছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। দুর্গাপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন কমিশনের সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে এ বার পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ১১ দফা সুপারিশের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি পাঠিয়েছে তারা। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে,নির্যাতিতার বিনামূল্যে এবং সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এই মামলাটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে (Fast Track Court) শুনানি করতে হবে।কারণ ট্রমার কারণে তিনি সকলের সঙ্গে পরীক্ষা (Exam) দেওয়ার অবস্থায় নাও থাকতে পারেন। সেই জন্য নির্যাতিতার বিশেষ পরীক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতাকে দেখতে বাধা, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকল ওড়িশা মহিলা কমিশনের সদস্যরা
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, একই সঙ্গে, হাসপাতালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর সুপারিশ করেছে কমিশন। পড়ুয়ারা কে কখন ঢুকছেন, কে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তা প্রত্যেক প্রবেশ এবং বাহির পথে নথিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালে (Hospital) কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার মধ্যে কতগুলি কাজ করে, তারও একটি বিস্তারিত রিপোর্ট এক মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন
